ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অতি বৃষ্টিতে 

চকরিয়ায় পাহাড়ে ধসে ভেঙে গেছে  ১১টি পরিবারের বসতঘর ও মাটি চাপা পড়ে রেললাইন বন্ধ,  ৮ঘন্টা পর সচল 

এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কক্সবাজারের চকরিয়ায় পাহাড় ধসে ভেঙে গেছে অন্তত ১১ পরিবারের বসতবাড়ি। এসময় বৃষ্টির পানিতে মাটি সরে গিয়ে পাশের রেললাইন চাপা পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে যায় কক্সবাজার চট্টগ্রাম সড়কের রেললাইন। অবশ্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তড়িৎ হস্তক্ষেপে চাপা পড়া মাটি অপসারণের মাধ্যমে প্রায় ৮ ঘন্টা পর গতকাল বুধবার সকাল থেকে রেললাইন সচল করা হয়েছে। মঙ্গলবার ২০ আগস্ট  রাত আনুমানিক ৯টার চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রেললাইন লাগোয়া গাইনাকাটা এলাকায় ঘটেছে এ পাহাড় ধসের ঘটনা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ বলেন, বেশ কদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে হারবাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়ি জনপদ গাইনাকাটা এলাকায় অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকার অন্তত ১১ টি পরিবারের বসতবাড়ি পাহাড় ধসে ভেঙে গেছে।
তিনি বলেন, ওই এলাকার পাশ দিয়ে ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে কক্সবাজার চট্টগ্রাম রেল সড়ক। সেখানে আশপাশের পাহাড় কেটে মাটি নেয়া হয়েছে। এই অবস্থায় পাহাড়গুলোর একাংশ ঢালু হয়ে পড়ার কারণে বৃষ্টির পানিতে গোড়ালির মাটি সরে গিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর তালিকা তৈরি করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে।
রেললাইন লাগোয়া হারবাং ইউনিয়নের গাইনাকাটা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই তাৎক্ষণিক মাটি অপসারণে তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছেন রেললাইন নির্মাণের নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন। প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, আমাদের প্রকৌশলী ও শ্রমিকরা রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুইটি স্কেভেটর গাড়ি দিয়ে উপড়ে পড়া মাটি অপসারণ পুর্বক রেললাইন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯ টা থেকে রেললাইন  বন্ধ থাকলেও গতকাল বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে উপড়ে পড়া মাটি অপসারণ হয়ে গেলে রেল  যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। তবে মঙ্গলবার রাতে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার কারণে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী একটি রেল গন্তব্যে ছেড়ে যেতে পারেনি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ফখরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের গাইনাকাটা এলাকায় পাহাড় ধসে বেশকিছু বসতবাড়ি ভেঙে গেছে। বিষয়টি রাতেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মাটি চাপা পড়ে রেললাইন বন্ধ ছিল। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন স্কেভেটর গাড়ি দিয়ে উপড়ে পড়া মাটি অপসারণের মাধ্যমে পুনরায় রেললাইন সচল করার ব্যবস্থা নিয়েছেন।
পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর তালিকা তৈরি করতে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: